মৌলভীবাজার সংবাদ প্রতিদিন

মৌলভীবাজার সংবাদ প্রতিদিন

বারবেছ হত্যাকারীরা জামিনে এসে মিথ্যা মামলা, হামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


নিম্নে সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হল-

আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মো: কয়েছ মিয়া, সা- হিলালপুর, মৌলভীবাজার সদর। সমাজের বিবেক সাংবাদিক ভাইয়েরা, এই সমাজের অনিযম দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনারা কলম সৈনিকের সংগ্রাম চলছে অনবরত। আমরা সাধারন মানুষ অন্যায় অনিয়মের প্রতিবাদ করাতো দুরের কথা, কোনো কিছু দেখলে বা শুনলেও পড়তে হয় চরম বিপদে। আমাদের ভাইকে হত্যা করার পর আসামীরা জামিনে বেড়িয়ে এসে আমাদের উপর একের পর এক মিথ্যা মামলা করে যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে পাচ্ছিনা কোন সহযোগীতা। উপরোক্ত আমার ভাই হত্যাকারীরা চক্রান্ত করে একের পর এক মিথ্যা মামলা করে যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে এপর্যন্ত ৩ টি মামলা রেকর্ড করেছে। আমি ফোন করে পুলিশ নেওয়ার পর উল্টো আমাকে গ্রেফতার করে ৫১ ধারায় চালান দেয়।


সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা, আমি আপনাদের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসন ও এলাকার কিছু সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড তুলে ধরতে চাই।

মোঃ আজাদ মিয়া (৩০), সামাদ মিয়া (২৫) পিতা-মৃত আহাদ মিয়া, ছালিক মিয়া (৫০), পিতা-মৃত


আছকর উল্লা, ফয়ছল মিয়া (২০), পিতা-মৃত শাকির মিয়া, রনি (১৮), পিতা-অজ্ঞাত, মাতা-স্বপ্না বেগম, রিয়াদ (২০), পিতা-ছালিক মিয়া, তাজেল (২২), পিতা-ফারুক মিয়া, সুফন মিয়া (৩০), পিতা-মৃত মন্ডল মিয়া, আলম মিয়া (৩৫), পিতা-মৃত হবিব উল্লা, মাকুম মিয়া (৩৫), পিতা মৃত আছন উল্লা, আলী মিয়া (৩৪), মন্টু মিয়া (৩৩), সিপন মিয়া (২৫), সর্বপিতা- পিতা-মৃত মারুফ মিয়া, স্বপ্না বেগম (৪০), পিতা-মৃত আছন উল্লা, রেনা বেগম (৪২), পিতা-মৃত আছন উল্লা, স্বামী-মৃত জয়নাল, ফারুক মিয়া (৪০), পিতা-মৃত হবিব উল্লা, সানি মিয়া (১৮), পিতা-মগাই মিয়া, বলদা (২০), পিতা-অজ্ঞাত, মাতা-নাছিমা বেগম, মিতা বেগম (২৬), স্বামী-মাছুম মিয়া, রাহি মিয়া (২৫), পিতা-মৃত মারুফ মিয়া, জাকির (৩০), পিতা-মৃত আছকর উল্লা, জলাল মিয়া (৩০), পিতা-সফিক উল্লা, ইমরান (৩২), পিতা-সুন্দর মিয়া, আফছানা বেগম, স্বামী সামাদ মিয়া, রিপন মিয়া, পিতা সুফিয়ান, ছুরত মিয়া, সর্বগ্রাম-হিলালপুর, ১১নং মোস্তফাপুর ইউপি, থানা-মৌলভীবাজার সদর ব্যক্তিরা আমার পাড়া প্রতিবেশী হয় এবং আত্মীয় স্বজন। দীর্ঘদিন থেকে বিবাদীদের সাথে আমাদের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে বিরোধ সহ মনোমালিন্যতা চলিয়া আসিতেছে। বিবাদী সামাদ মিয়া আমার ভাতিজা হয় এবং বিবাদী আফছানা বেগম মৃত রুবেল মিয়ার স্ত্রী। বিবাদী সামাদ মিয়া মৃত রুবেল মিয়ার স্ত্রী আফছানা বেগম-কে সকলের অগুচরে গোপনে বিবাহ করে। সর্ম্পকে ভাইপো ও চাচী হওয়ায় পরিবারের লোকজন বিষয়টি মানিয়া নিতে পারেন নাই। বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিকট বিচার প্রার্থী হন। ২৬/০৯/২০২৪ তারিখ ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নস্থ হিলালপুরে তারা মিয়ার বসত বাড়ীর উঠানে বিচার বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বিবাদীগন আজেবাজে কথাবার্তা বলতে শুরু করে। তখন তাদের সাথে আমাদের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সকল বিবাদীগন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক একই উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র শাস্ত্র নিয়ে বেআইনী জনতায় মিলিত হইয়া বিবাদী আজাদ মিয়ার হুকুমে সামাদ মিয়ার ডান হাতে থাকা ধারালো দা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে পারভেজ এর পেটে কোপ দিয়ে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। পরে সে মারা যায়। এসময় আজাদ মিয়া, আসাদ মিয়া, ফতই বিবিকে মারাত্মক ভাবে জখম করে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকায় পারভেজ মিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন এবং অন্যান্য জখমীদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা হয়। এই হত্যার মামলায় প্রত্যেক আসামী ৩/৪ মাস জেল কেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর গত ২৫/১০/২৫ ইং আমার চাচাত্ব ভাই সাইফউদ্দিন আমার আম্মাকে দেখতে আসলে সামাদ মিয়া, ভাজেল মিয়া, শাহীন মিয়া, শামীম মিয়া, ইমরান মিয়া, আমীর মিয়া, শিপন মিয়া দা দিয়ে কোপায়। এব্যাপারে মৌলভীবাজার থানায় মামলা করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের মার্ডার মামলার আসামী শিপন মিয়ার স্ত্রী শামীমা খাতুন বাদী হয়ে লুটপাটের সিআর ৭১২ নং মামলা আমাদের উপর করে। মার্ডার মামলার আরেক আসামী ফারুক মিয়া আমাদের ৯ জন সামী করে ১০/১২/২৪ ইং সিআর ৯১৭ নং লুট পাটের মামলা করে। নং ২৪/১০/২৫ ইং আমার ভাই হত্যাকারীদের সহযোগী মো: আমীর আলী ২৪/১০/২৫ ইং মৌলভীবাজার থানার যোগসাজসে ২০/৩৮৫। আমাদের ৬ জনকে আসামী করে দুই লাখ টাকার মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। মামলা নং


ইদানিং আমির মিয়া নতুন করে মিথ্যা আরো একটি মামলা করছে ১৩ জন আসামী দিয়ে। জামিনে বেড়িয়ে এসেই ওরা আমাদের বাড়িতে আমাদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা করে এবং ইট পাথর ছুড়ে মারে। অস্ত্র, দা, চাইনিজ কুড়াল সহ আর ও ঘাবতীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর এটাক করে। আমার চাচাত ও ভাই শারীফ উদ্দিনকে ওরা সবাই মিলে মারধোর করে দা, কুড়াল, ছাইনিজ কুড়াল, এবং চাকু দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।


গত কোরবানী ঈদের পূর্বে ঘরে প্রবেশ করে মাংস কাটার দা অস্ত্র বলে আমার মা ফাতেমা বেগম, বোন সুহেনা বেগম কে পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রফতার করে। এরপর আমার ছেলে আলামিন মিয়া, জামিল মিয়াকে কোরবানী ঈদের পর মাছ কাটার বটনি দা, ছেদের দা দিয়ে গ্রেফতার দেখায়। গত ২৩/১০/২৫ ইং আমীর আলী আমার ভাই আজাদ, ভাগনা রুহেলের সাথে কথা কাটাকাটির হয়। আমি বড়হাট বাসা থেকে ফোন পেয়ে ইলালপুর আসি। তখন পুলিশ এসে সাথে আমাকে বিনা কারনে ধরে নিয়ে ৫১ ধারায় চালান করে। পরের দিন আমি জামিনে আসি।

আপনাদের লেখনির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য ঘটনা বের করার জন্য আহব্বান জানাচ্ছি। আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য আন্তরিক দুঃখিত। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে নেবেন।


Post a Comment

0 Comments