বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ওলিয়ে কামিল হযরত শাহ আজম রহ. এর ৪৫তম ইন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবারে তার মাজার শরীফে পবিত্র খতমে কুরআন, খতমে খাজেগান, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য যে, ওলিয়ে কামিল হযরত শাহ আজম রহ. দ্বীনের একজন খাদিম ছিলেন নিঃস্বার্থভাবে তিনি আল্লাহ তাআলার দ্বীনের খেদমত করেছেন তাঁর দুনিয়াবি কোন প্রকার লোভ-লালসা মোটেই ছিলনা। সহজ সরল জীবন যাপন তিনি পছন্দ করেন।
তিনি তার জীবদ্দশায় দ্বীনের অপরিসীম দেখমতে আনজাম দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করেন। বিশেষ করে তিনি ঐতিহাসিক গয়গড় খোজার মসজিদের সন্ধান বাহির করেন এবং পুনঃ সংস্কার করেন। এই মসজিদটি ছিল সুলতানী মোগল আমলের। সমস্ত মসজিদ ছিল জঙ্গলের ধ্বংসস্তূপ মসজিদের পাশেই ছিল হিংস্র প্রাণী বাঘের বসবাসের আস্তানা। ওলিয়ে কামিল সেখানে যাওয়ার পরে জঙ্গল পরিস্কার করে মসজিদের সন্ধ্যান পাওয়া যায়। এলাকাবাসী মসজিদের পাশেই ওলির নামানুসারে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা করেন। এই মাদ্রাসা এলাকা সহ দূর দুরান্ত থেকে বহু ছাত্র হাফিজ মাদ্রাসা অধ্যয়ন করতেছেন। তিনি মসজিদ মাদরাসা, খানকা, রাস্তা ঘাট নির্মাণ ও পুনঃ সংস্কার করেন। ওজু করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুকুর খনন করান। ভাব গম্ভীর্য পরিবেশে তার ইন্তেকাল বার্ষিক পালন করা হয়। ইন্তেকাল বার্ষিকীতে উপস্থিত ছিলেন ওলিয়ে কামেলের ভক্তবৃন্দগন, এলাকার সম্মানিত মুরব্বিয়ানে কেরাম আলেম-ওলামা, হাফিজ সাহেবগন, এলাকার যুব সমাজ, রাজনীতিবিদগণ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকবৃন্দগন।
ওলিয়ে কামিল হযরত শাহ আজম রহ সুযোগ্য নাতি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মূফতী শাহ মোহাম্মদ মোশাহিদ আলী আজমী ছাহেব রহ আজ তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু এ-ই বার্ষিক মাহফিল প্রতিবছর তিনি তাঁর জীবদ্দশায় খুবি গুরুত্বের সাথে আনজাম দিয়েছেন। আজ তিনি পরপারে। মাজার শরীফ, হাফিজি মাদ্রাসা, মহিলা এবাদতখানা, মাঠ সহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তিনি নেই কিন্তু তার সদগায়ে জারিয়া মূলক কাজ দৃশ্যমান। আল্লাহ তাআলা যেন তাঁর জীবনের সকল নেক কাজকে কবুল করে পরপার সুন্দর করে দেন।
শেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলিয়ে কামিলের সুযোগ্য নাতি মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মুজাহিদ আলী আজমী। অনুষ্ঠান শেষে তবরুক বিতরণ করা হয়।



0 Comments