বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৬নং আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে অফিসে নিয়মিত না এসে বেতন ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে চেয়ারম্যান নিয়াজ মুর্শেদ রাজু আত্বগোপনে থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান প্যানেল চেয়ারম্যান -৩ নিরজনা আক্তার হেনা। এরপর থেকে নিরজনা আক্তার হেনা ও ইউপি সচিব মোহাম্মদ শহিদুর রহমান নিয়মিত অফিস করছেন না অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাই বেড়েছে নাগরিক ভোগান্তি। পরিষদে জন্মনিবন্ধন, সিটিজেন সার্টিফিকেট, বিধবার কার্ড, বয়স্ক ভাতার কার্ড, গর্ভবতী নারীদের কার্ডসহ নানা কার্ডে স্বাক্ষর প্রয়োজন হলে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ধরনা দিতে হয়। ফলে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ ইউনিয়নবাসী। অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড হচ্ছে ব্যাহত। তারা বাড়িতে বসে থেকেই প্রতি মাসে সঠিক সময়ে বেতন তুলে নিচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কাগজপত্র স্বাক্ষরের প্রয়োজন হলেও তারা অফিসে আসেন তাদের মন মর্জি মত। নিরুপায় হয়ে ওই সব কাগজপত্র স্বাক্ষরের জন্য সাধারণ মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হচ্ছে এরপরও তারা স্বাক্ষর করেন তাদের মর্জিমাফিক।
গেল ০৪ মে রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও দেখা মিলেনি ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের।
ইউনিয়নে আসা সাধারণ নাগরিক(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)বলেন,সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এখন সাড়ে ১১টা বাজে অপেক্ষায় আছি কখন আসবেন জানিনা।গ্রাম পুলিশ সদস্য বলেন,কখনো ১০টা কখনো ১১ টায় অফিসে আসেন।
অফিস সহকারী অমল দেব নাথ বলেন, কখনো ১১টা কখনো সাড়ে ১১টায় অফিসে আসেন।
ইউপি সচিব মোহাম্মদ শহিদুর রহমান কে মুঠোফোনে কল করলে তিনি বলেন এখন ব্যস্ত আছি পরে কল করুন বলে লাইন কেটে দেন।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিরজনা আক্তার হেনা মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এসব মিথ্যা অভিযোগ এবং সময় মতো অফিসে উপস্থিত না থাকার কারণ জিজ্ঞেস করলে বলেন আমি এলাকার কাজেই ব্যস্ত থাকি আমি একা থাকায় এবং কাজের চাপ থাকায় অফিসে সময়মত আসতে বিলম্ব হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন,সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সকলকেই সকাল ৯টা থেকে ৫টা উপস্থিত থাকা উচিত সেটা আমি ও মেইনটেইন করি, আপনাদের অভিযোগ কে খতিয়ে দেখছি সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
0 Comments